কাজী রফিকুল হাসান ৩১ জানুয়ারী জামালপুর জেলা প্রতিনিধি ॥ জামালপুরে অদ্ভুত আতঙ্ক বিরাজ করছে। এখন শীত মৌসুম। জামালপুর জেলার বিভিন্ন স্থানে ইসলামী মহাসম্মেলন শুরু হয়েছে। এ সম্মেলনকে ঘিরে জেলা জামায়াত সুসংগঠিত হচ্ছে। অনেকে ধারনা করেছে জেলা জামালপুর আন্ডার গ্রাউন্ডে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে জামায়াত আন্ডার গ্র্রাউন্ডে নেই। তারা প্রকাশ্যে মাঠে নেমেছে। তাদের ইন্ধন দিচ্ছে বিশেষ একটি চক্র। এ চক্রের মাধ্যমে গড়ে তুলেছে বিশাল অস্ত্র ভান্ডার। তাদের হাতে এমন কিছু অস্ত্র রয়েছে কর্মসূচী এলেই চোরাগোপ্তা হামলা শুরু করে। ইতিমধ্যে বিভিন্ন স্থানে হামলাও করেছে। তাদের হামলার ধরন এমন যা পুলিশ প্রশাসন বুঝতেই পাড়ছে না। জামায়াত সুসংগঠিত করার ল্েয মাদ্রাসাগুলোকে ব্যবহার করছে। একাধিক গোপন সূত্রে জানা গেছে দূর্গম চরাঞ্চালের মাদ্রাসাগুলো জামায়াতের মূল ঘাঁটি। ঐ সব মাদ্রাসায় অস্ত্র লুকিয়ে রেখেছে। তারা হরতালের নামে রৈরাজ্যকর কর্মসূচীও দিচ্ছে। গাড়ী-ঘোড়া ভাংচুরও করছে। বিএনপি হরতালের কর্মসূচী দিলেই জামায়াতের প্রকৃত চেহারা বেরিয়ে আসছে তারা কতটা মারমুখী। কর্মসূচী দেয়ার আগেই তারা মারমাট কাটকাট অবস্থা তৈরি করে ফেলেছে। জেলার রাজনৈতিক বিশেষকদের মতে জামায়াত বিএনপির কাঁধে পা রেখে হরিণ শিকার করার পায়তারা করছে। ইতিমধ্যে তারা অনেকদূর এগিয়েছে। নাশকতা করার ল্েয উঠতি বয়সের ক্যাডারদের ব্যবহার করছে। ঐসব ক্যাডারদের দিচ্ছে মোটা অংকের টাকা। টাকার বিনিময়ে নৈরাজ্য সৃষ্টি করছে। আর সাধারণ মানুষের জানমালের ব্যাপক য়তি হচ্ছে। জামায়াতের অগ্রযাত্রায় জেলার নিরীহ মানুষ আতংকিত হয়ে পড়েছে। স্থানীয় প্রশাসন জামায়াতকে কিভাবে সামাল দিবে তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। স্থায়ীয় প্রশাসনের উচিত এখনই ব্যবস্থা নেয়া। অদ্য জামায়াতের ডাকে জামালপুরে হরতাল পালিত হয়নি। তবে দূর পালার যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। তাই সচেতন মহল জামায়াতকে নিষিদ্ধ করার দাবী জানিয়েছেন।

0 মন্তব্য(গুলি)