
জাহিদুর রহমান বিপ্লব, ডুমুরিয়া ও কেশবপুর উপজেলার মধ্যবর্তী স্থান দিয়ে শ্রী নদী। এই নদীর নাব্যতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে গত ২০০৫ সাল থেকে ৩বছর মেয়াদী “টি.আর.এম. প্রকল্প চালু হয়। প্রকল্পের আওতায় বিল খুকশীয়ার ২নং কার্টিং পয়েন্ট এলাকার ১৬শ হেক্টর জমিতে দীর্ঘ ৯ বছর জোয়ার ভাটার কারনে এলাকার কৃষকরা ফসল উৎপাদন থেকে বঞ্চিত হয়ে আসছে। কয়েকবছর আগে টি,আর,এম প্রকল্প শেষ হলেও ওই বিলের জোয়ার ভাটার কারনে বড় বড় খালের সৃষ্টির ফলে কৃষকদের মরার উপর খরার ঘাঁ সৃষ্টি হয়। কেশবপুর ও ডুমুরিয়া এলাকার ১১টি গ্রামের জমির মালিকরা একত্রিত হয়ে গত দু মাস পূর্বে খুকশিয়ার ২নং কাটিং পয়েন্ট এলাকায় সেচ্ছাশ্রম ও এলাকার দানশীল রাজনৈতিক ব্যক্তিদের আর্থিক অনুদানে সৃষ্ট নদীতে বাধ দেওয়ার কাজ শুরু করেছে। গতকাল শনিবার সকালে দিনব্যাপী ওই বাঁধে কয়েক “শ” শ্রমিক নিয়ে বিশিষ্ট অর্থনীতিবীদ ড. মাহবুবুল ইসলামের নেতৃত্বে ভেড়ি বাধের কাজ করছে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ডা. দীন মোহাম্মাদ খোকা, মাহবুবুল ইসলাম দিপু, বাধ কমিটির আহবায়ক সুলাইমান গাজী সহ স্থানীয় রাজনীতিবীদ সুধী জন সহ সকল পেশার মানুষ। বাধ কমিটির আহবায়ক সুলাইমান গাজী জানান শ্রী নদীর নাব্যতা বৃদ্ধির ল্েয কেশবপুর মনিরামপুর, ডুমুরিয়া এলাকার মধ্যবর্তী বিলের জমিতে টি,আর,এম প্রকল্প নামে একটি প্রকল্প চালু হয়। কিন্তু প্রকল্প শেষ হলেও ওই বিলের সাথে নদীর সংযোগ স্থল তৈরী হওয়ায় প্রতিনিয়ত জোয়ারের সময় বিল গুলো পানিতে তলিয়ে থাকে। ওই বিলের জমির মালিকরা ফসল উৎপাদন থেকে বঞ্চিত হয়ে আসছে। তাই এলাকার জমির মালিকদের সাথে নিয়ে ওই কাটিং পয়েন্ট এলাকায় একটি বাধের জন্য আহবায়ক কমিটি করে কাজটি বাস্তবায়নের জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। আমাদের ডাকে সাড়া দিয়ে বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের হুইপ আব্দুল ওহাব, কেশবপুর উপজেলার চেয়ারম্যান আমির হোসেন, ডুমুরিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান গাজী আ: হাদী, বিশিষ্ট অর্থনীতিবীদ ড. মাহবুবুল ইসলাম, তরুন সমাজ সেবক আজয় সরকার, চেয়ারম্যান মঞ্জুর আলম, মাহবুবুল ইসলাম দিপু সহ একাধিক দানশীল ব্যক্তিরা এগিয়ে আসার কারনে এই বাধটি সহজেই তৈরী করতে পেরেছি। এখনও কাজের অনেক বাকি। এ বাধের ফলে এই বিলের ১৬শ হেক্টর জমিতে আগামী কয়েক বছরের মধ্যে কৃষকরা ব্যপক ফসল উৎপাদন করবে। বরুনা এলাকার স্কুল শিক ভুবন মোহন মন্ডল বলেন ওই বিলে আমার ৫একর জমি রয়েছে। জমিটি নদীর মত গর্ত হয়ে গেছে। গত ৮/৯ বছরে ওই জমি থেকে আমি কোন ফসল পাই নি। তবে বাঁধ টি হওয়ায় ওই বিলের ১৬শ হেক্টর জমির মালিকরা ঘের এবং ধান চাষ করে স্বাবলম্বী হতে পারবে। বাধটি হওয়ায় তিনি খুব আনন্দিত।
Tags:
0 মন্তব্য(গুলি)