শেখ সারাফাত হুসাইন:: মায়ের প্রতি অভিমান করে কীটনাশক পানে উপজেলার মলমলিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেনীর ছাত্র কাশেম গাজীর (০৮) করুণ মৃত্যু ঘটেছে। ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল মঙ্গলবার সকালে ডুমুরিয়া উপজেলা মলমলিয়া গ্রামে।
পারিবারিক সুত্র জানান প্রতিদিনের ন্যায় সকালে স্কুলে না যেতে বায়না ধরলে শিশু কাশেমের মা তাকে স্কুলে যাওয়ার জন্য বকুনি দেয়। এক পর্যায় সে বাড়ির সকলের অজান্তে ঘরে থাকা কীটনাশক পান করে অসুস্থ হয়ে পড়ে। কীট নাশকের যন্ত্রনায় ছটফট করতে থাকলে পরিবারের লোকজন তাকে দ্রুত ডুমুরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক ইউনুচ আলী জানান পাকস্থলি থেকে কীটনাশক বের করার জন্য হাসপাতালে কোন শিশু ওয়াশ টিউব না থাকায় তাকে পানি খাইয়ে বমি করানো হয় এবং চিকিৎসা দেয়া হয়। এক পর্যায়ে সে অসুস্থ হয়ে পড়ে। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। প্রতি মধ্যেই তার মৃত্যু ঘটে। সে উপজেলার মলমলিয়া গ্রামের তফেল গাজীর ছেলে। ুতার এ করুন মৃত্যুতে পরিবার ও এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
পারিবারিক সুত্র জানান প্রতিদিনের ন্যায় সকালে স্কুলে না যেতে বায়না ধরলে শিশু কাশেমের মা তাকে স্কুলে যাওয়ার জন্য বকুনি দেয়। এক পর্যায় সে বাড়ির সকলের অজান্তে ঘরে থাকা কীটনাশক পান করে অসুস্থ হয়ে পড়ে। কীট নাশকের যন্ত্রনায় ছটফট করতে থাকলে পরিবারের লোকজন তাকে দ্রুত ডুমুরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক ইউনুচ আলী জানান পাকস্থলি থেকে কীটনাশক বের করার জন্য হাসপাতালে কোন শিশু ওয়াশ টিউব না থাকায় তাকে পানি খাইয়ে বমি করানো হয় এবং চিকিৎসা দেয়া হয়। এক পর্যায়ে সে অসুস্থ হয়ে পড়ে। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। প্রতি মধ্যেই তার মৃত্যু ঘটে। সে উপজেলার মলমলিয়া গ্রামের তফেল গাজীর ছেলে। ুতার এ করুন মৃত্যুতে পরিবার ও এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
খর্নিয়া থেকে এম সেলিম আবেদ, ডুমুরিয়া উপজেলার খর্নিয়া ইউনিয়নের ইউনিয়ন পরিষদের ভিজিডি কার্ড ধারী মহিলাদের সঞ্চয়কৃত অর্থ বিতরন করা হয়েছে। গতকাল বিকাল ৪টায় ইউপি কার্যালয় অর্থ বিতরন অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ইউপি চেয়াম্যান শেখ দিদারুল হোসেন দিদার। অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন এ এস এস (এনজিও) প্রশিক বাবু বিধান চন্দ্র দাস, ইউপি সদস্য শেখ আ: মান্নন, মোল্যা আবুল কাশেম, শেখ হযরত আলী, হামিদা বেগম, নুরজাহান বেগম, আলেয়া বেগম, শেক মহাসিন হোসেন, রনজিত দেবনাথ, ইলিয়াস মোড়ল, বলরাম ভদ্র, আ: হালিম সরদার , ইউপি সচিব ইমদাদুল হক প্রমুখ। সভা শেষে ৭৫ভিজিডি কার্ডধারী মহিলাদের প্রত্যেককে ৯শ ৮৭ টাকা করে বিতরন করেন। চেয়ারম্যান উপস্থিত কার্ড ধারী দের উদ্যেশ্যে বলেন ২বছর এই টাকাগুলো আপনাদের কাছ থেকে জমা রেখে লভ্যাংশ সহ ফেরত দেওয়া হল।
খর্নিয়া থেকে এম সেলিম আবেদ, ডুমুরিয়া উপজেলার ৪নং খর্নিয়া ইউনিয়নের শ্রমিক দলের প্রচার সম্পাদক ইসমাইল গাজী শারীরিক অসুস্থতার কারনে শ্রমিক দল থেকে লিখিত ভাবে অবসর নিয়েছে। শারিরীক ভাবে তিনি দারুন অসুস্থ হওয়ায় সে সকলের কাছে দোয়া চেয়েছে।
খর্নিয়া থেকে এম সেলিম আবেদ, মিনি গ্যারেজে রুপ নিয়েছে ডুমুরিয়া উপজেলার ৪নং খর্নিয়া ইউনিয়ন পরিষদ কমপ্লেক্স। দেখলে মনে হয় গাড়ী সারানোর কর্মস্থান। সারাদিন ৮/১০টি গাড়ী সব সময় রয়েছে। নচিমন করিমন আর মিনি ট্রাকটরের বিকট শব্দে কান তালা লাগার উপক্রম হয়েছে। তাছাড়া সপ্তাহে বৃহস্পতিবার ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে বসে ছাগলের হাঠ। নেই খর্নিয়া বাজারে নিদৃষ্ট টয়লেট খানা। তাই খর্নিয়ার হাজারো মানুষের প্রসাব খানা বানিয়ে নিয়েছে পরিষদ চত্বর। আর সরকার নির্মিত পরিষদ কম্পেক্সের চারিদিকের ড্রেন। কমপ্লেক্সের পাশ দিয়ে চলতে গেলে নাক চেপে ধরে চলতে হয়। যদি কেউ ভুলেও একবার নিশ্বাস নিয়েছে তাহলে পেটের অসুখ হবেই। তাছাড়া ড্রেনের প্রসাব আর আবর্জনা পচে কালচে বর্নের হয়ে গেছে। ড্রেন থেকে পানি নিস্কাসন না হওয়ার কারনে সব সময় উৎকট দূর্গন্ধ নির্গত হচ্ছে। ফলে চার পাশের প্রচন্ড দুর্গন্ধে শ্বাস রোধ হয়ে আসার উপক্রম হচ্ছে। সব কিছু মিলিয়ে খর্নিয়ার সচেতন মহলের মনে হচ্ছে সরকার কর্তৃক নির্মিত ড্রেন মানুষের প্রসাব খান। আর ভবনের চত্বর হচ্ছে মিনি গ্যারেজ। এ বিষয় কথা হয় ৪নং খর্নিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শেখ দিদারুল হোসেন দিদারের সাথে। তিনি বলেন এদের নিষেধ করছি কিন্তু শুনছে না। তাছাড়া চারপাশের ওয়াল এবং গেটের দরজা বানালে এরা আর পরিষদে গাড়ী রাখতে পারবে না। কথা হয় ইউপি সদস্য শেখ হযরত আলী, সোহাগ মোড়ল, কশেম মোল্যা, সহ এলাকার সচেতন মহলদের সাথে। তার বলেন চেয়ারম্যান পদপে নিলে এর থেকে পরিত্রান পাওয়া সম্ভব।
খর্নিয়া থেকে এম সেলিম আবেদ, সৎ পুলিশের দ্বায়িত্বহীনতা আর অসৎ পুলিশের চাঁদাবাজির কারনে যন্ত্র দানব নছিমন করিমন মহা সড়কের উপর দিয়ে চালানো বন্ধ হচ্ছে না কিছুতেই। ডুমুরিয়া উপজেলা মহা সড়ক সহ বিভিন্ন সড়কে দীর্ঘদিন ধরে চলছে যন্ত্র দানব নছিমন করিমন। স্থানীয় ভাবে স্যালো ইঞ্জিন দিয়ে তৈরী এসব যানবহন এলাকায় পরিচিতি পেয়েছে যন্ত্র দানব হিসাবে। কোন প্রকার সরকারী নিবন্ধন ও অনুমোদন ছাড়াই অবৈধ সিিমতির মাধ্যমে উপজেলার সড়ক মহা সড়কে চলাচল কালে এ সকল যানবহন দূর্ঘটায় এ পর্যন্ত কয়েক শত লোকের মৃত্যু ও আহত হয়ে পঙ্গুত্ব বরন করে মানবেতর জীবন যাপন করছে। এ সব দূর্ঘটনা ঘটলেও রহস্য জনক কারন থানায় মামলা নেওয়া হচ্ছে না। আবার অবৈধ যানবহন রাস্তায় চালাতে গেলে মালিক পরে কাছ থেকে তথা কথিত সমিতির নামে এলাকার এক শ্রেনীর লোক বেপরোয়া ভাবে চাদাবাজী করে চলেছে। অবৈধ এই নছিমন করিমন চলাচলে ধারাবাহিক দূর্ঘটানায় মানুষের জানমালের তি ও চাদাবাজীর পরেও টনক নড়ছে না স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনের । থানা পুলিশ ও স্থানীয় প্রশাসনের চেখের সামনে সব কিছু ঘটলেও তারা যেন দেখেও না দেখার ভান করে বসে থাকে। অভিযোগ রয়েছে প্রশাসনকে ম্যানেজ করে এই সকল অবৈধ নছিমন করিমন চলছে। অনুসন্ধানে জানাগেছে বছর কয়েক আগে কেবল মাত্র উপজেলায় ১৫/২০টি নছিমন করিমন চলা শুরু করে। প্রশাসনিক কোন বাধা না থাকায় ক্রমান্বয় উপজেলার সকল সড়ক মহা সড়কে প্রসার ঘটে এ সকল নছিমন করিমনের। বর্তমানে ডুমুরিয়া উপজেলায় কয়েক হাজার নছিমন করিমন চলাচল করছে। এসব অবৈধ যানবহন রাস্তায় চলাচল করতে গিয়ে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে সরকারী রাস্তা দখল করে তৈরী হয়েছে তাদের স্টান্ড। অবস্থা এমন দাড়িয়েছে কয়েক কোটি টাকা মূল্যের সরকারী জমি দখল করে ট্যাম্পু স্টান্ড তৈরী করলেও উপজেলা প্রশাসনের উচ্ছেদে কোন প্রকার ব্যবস্থা নেয় নি। যার ফলে স্কুল কলেজ পড়–য়া ছাত্র ছাত্রী ও পথ চারী দের দূর্ঘটনা প্রতিনিয়ত লেগে আছে। সচেতন মহল এর থেকে পরিত্রান পাওয়ার জন্য উর্ধত্বন কর্তৃপরে আশু হস্থপে কামনা করছেন।
শেখ সিরাজুল ইসলাম, গতকাল সোমবার সকালে ডুমুরিয়ার ১০ নং ভান্ডার পাড়া ইউনিয়ন পরিষদের ভিজিডি কার্ড ধারী মহিলাদের জমাকৃত অর্থ বিতরন অনুষ্ঠান ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ইউপি চেয়ারম্যান খান আলী মুনসুর। অনুষ্ঠানে ৬৯জন কার্ড ধারী দের প্রত্যেককে ৯৮৭ টাকা করে মোট ৬৮ হাজার ১শত ৩টাকা বিতরন করা হয়। সভাপতি বলেন আজকের এই টাকা গুলো আপনাদের কাছথেকে জমা রেখে লভ্যাংশ সহ ফেরত দেওয়া হল। আমার অনুরোধ রইল আপনারা এই টাকা দিয়ে হাস মুরগী কিনে লালন পালন করে আরো টাকা বৃদ্ধি করবেন। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন এ,এস, এস (এন জি ও) প্রশিক্ষক বিধান চন্দ্র দাস, ইউপি সদস্য সুধাময় মন্ডল, প্রভাষ মন্ডল, শশাংক বিশ্বাস, বিভাষ বৈরাগী, ও ইউপি সচিব অনিশ বিশ্বাস প্রমুখ। সভাপতি আলোচনা শেষে প্রত্যেক কার্ডধারীদের হাতে নগদ ৯শ ৮৭টাকা করে প্রদান করে।
মোল্যা কারিমুল ইসলাম, উৎপাদন বিপনন আমদানী ও বিক্রয় নিষিদ্ধ পলিব্যাগ ডুমুরিয়া বাজারে সয়লাব। ডুমুরিয়া বাজারে বিভিন্ন মুদী দোকানে ও হার্ডওয়ারের দোকানে প্রকাশ্যে বিক্রয় হচ্চে। নিষিদ্ধ এসব পলিব্যাগ বাংলাদেশে এর উৎপাদন নিষিদ্ধ হলেও পাশ্ববর্তী দেশ ভারতে রয়েছে এর বিশাল বাজার। বোনাপোল চেকপোষ্ট হয়ে চোরা কারবারি দের মাধ্যমে প্রতিদিন পাচার হয়ে আসছে বিভিন্ন সাইজের পলিব্যাগ। মানুষ বাজারের ব্যাগ হিসাবে এবং নিত্য প্রয়োজনে এই পলিব্যাগ ব্যবহার করছে। পলিব্যাগের ব্যবহার শেষ হলে তা ফেলে দিচ্ছে যেখানে সেখানে পরিবেশ হচ্ছে মারাত্বক হুমকির সম্মুখিন। সরেজমিনে ডুমুরিয়া বাজারে বিভিন্ন কাচাবাজার ও মুদি দোকানে গিয়ে দেখা যায় যে পাইকারীর পাশাপশি খুচরাও হিসাবে বিক্রি হচ্ছে ভারতীয় সাদা রজ্ঞিন পালীথিন ব্যাগ। তথ্য অনুসন্ধানের জানা যায় এসব পলি ব্যাগ ২২০ থেকে ২৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। শুধু ডুমুরিয়া বাজারে নয় ডুমুরিয়া থানাধীন বড় বাজার গুলো, চুকনগর, খর্নিয়া, শরাফপুর, শাহপুর, সহ থানার বিভিন্ন বাজারে। সরকারী ভাবে দেশে পলিব্যাগের উৎপাদন বিপনন আমদানী ও বিক্রয়ের নিষেদ্ধাজ্ঞা রয়েছে। তথাপিও সাধারন মানুষ বলছে পলিব্যাগ ব্যবহার করলে কেউ তো বাঁধা দেয় না। বাজারের সময় মালামাল বহনের সুবিদার্থে দোকানীরা এ ব্যাগ বিনামূল্যে দিয়ে থাকে। সে জন্য আবারো বাজার দখল করছে বাংলাদেশ নিষিদ্ধ ভারতীয় পলিথিন ব্যাগ। বাংলাদেশের পরিবেশের জন্য হুমকির স্বরুপ ভারতীয় পলিথিন ব্যাগ। পলিথিন ব্যাগ বিক্রয় বন্ধের জন্য/ পরিবেশ অধিদপ্তর এবং ভ্রাম্যমান আদালতের অভিজান পরিচালনা করা অত্যান্ত জরুরী বলে মনে করেন এলাকার সচেতন মহল।
কাজী রফিকুল হাসান ৫ ফেব্র“য়ারী জামালপুর জেলা প্রতিনিধি ॥ দেশ প্রাকৃতিক সম্পদে ভরপুর। গ্যাস, কয়লা থেকে শুরু করে অন্যান্য প্রাকৃতিক সম্পদ দেশককে সমৃদ্ধ করেছে। বিশেষ করে জামালপুরের বালু দেশ সেরা। এ বালুর চাহিদা ব্যাপক। বিভিন্ন জেলার বালু ব্যবসায়ীরা ট্রাক ভর্তি করে নিয়ে থাকে। আর এ বালুকে নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনীতি। নদের পাড় ঘেষে গড়ে উঠেছে অবৈধ বালু মহাল। এসব বালু মহাল মালিকরা শ্যালো ইঞ্জিন চালিত মেশিন দ্বারা বালু উত্তোলন করছে। জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, বালু উত্তোলন করতে হলে খনিজ সম্পদ মন্ত্রনালয় ও জেলা প্রশাসনের অনুমোদন থাকতে হবে। পাশাপাশি সরকারকে রাজস্ব প্রদান করতে হবে। আশ্চর্য্যরে ব্যাপার বেশ কিছু বালু মহালের জেলা প্রশাসনের অনুমোদন নেই। অনুমোদন ছাড়াই সরকার দলীয় নেতারা স্থানীয় প্রশাসনকে ম্যানেজ করে অবাধে বালু উত্তোলন করছে। বালুর ব্যবসা করে অনেকে আঙ্গুল ফুলে কলাগাছে পরিণত হয়েছে। এদিকে সদর উপজেলাধীন নান্দিনা ও নরুন্দি এলাকায় অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের ব্যবসা জমজমাট আকার ধারন করছে। বালু যেভাবে উত্তোলন হচ্ছে তাতে পরিবেশের ভারসাম্য বিনষ্ট হচ্ছে। পরিবেশবাদীরা বালু উত্তোলন বন্ধে মানব বন্ধন করেছে। তবুও বন্ধ হচ্ছে না।
কাজী রফিকুল হাসান ৫ ফেব্র“য়ারী জামালপুর জেলা প্রতিনিধি ॥ দেশের অর্থনীতিকে পুরুষের পাশাপাশি নারীরা শিল্প স্থাপন করে অর্থনীতিকে চাঙ্গা রেকেছে। বিশেষ করে দরীদ্র শ্রেণীর নারীরা কুটির শিল্পের মাধ্যমে নিজেদের স্বাবলম্বী করে তুলেছে। জামালপুর কুটির শিল্পের জন্য বিখ্যাত। বিভিন্ন এনজিও থেকে গ্রামীণ মহিলারা বিভিন্ন বিষয়ের উপর প্রশিণ নিয়ে কুটির শিল্প স্থাপন করে দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। জেলা শহরের বিভিন্ন পাড়া মহলায় গড়ে উঠেছে অসংখ্য কুটির শিল্প। এই সব কুটির শিল্পে তৈরি হচ্ছে অনেক ডিজাইনের পন্য। এইসব পন্যের ব্যাপক চাহিদা। কারুকার্য এতই উন্নতমানের বিদেশেও চাহিদা রয়েছে। যারজন্যে গ্রামীণ মহিলারা কুটির শিল্পের প্রতি ঝুঁকে পড়েছে। বিভিন্ন গ্রাম ঘুরে জানা গেছে,বাড়ীর মহিলারা বসে নেই। সাড়াদিন বসে নকসীকাথা, শাড়ী, পাঞ্জাবী সহ হরেক রকমের পন্যের মধ্যে কারুকাজ করছে। কারুকাজ এতো সুন্দর চোখ ধাধানো। বেশ কয়েকজন মহিলাদের সাথে কথা বললে তারা এ প্রতিবেদককে বলেন ঢাকার সমস্ত মার্কেটে বিক্রি হচ্ছে জামালপুরের চোখধাধানো নানা ধরনের পন্য। দামও বেশ। শতদল কারুকাজ পলীর নির্বাহী পরিচালক জানান বিদেশের মার্কেটে জামালপুরের নকশীকাথা ছেয়ে গেছে। অনেকে এসব সামগ্রী রপ্তানী করছে। তিনি আরও বলেন কুটির শিল্পের প্রসারের েেত্র বিভিন্ন ব্যাংক স্বল্প সুদে ঋণদিলে আরও প্রসার ঘটবে। এতে গ্রামীণ মহিলারা স্ববলম্বী হবে।আর দেশের অর্থনীতিতে গতিশীলতা ফিরেআসবে।
কাজি রফিকুল হাসান ৫ ফেব্র“য়ারী জামালপুর ॥ নামেই জামালপুর রেলওয়ে হাসপাতাল। চিকিৎসা সেবা নেই বললেই চলে। হাসপাতালে কর্মরত রয়েছে ২/৩ জন লোক ও ১জন ডাক্তার। ডাক্তার নিয়মিত আসেন না। কম্পাউন্ডার ডাক্তারের কাজ করছেন। ভবনটিতে রাতে বসে মাদক ও ভাসমান পতিতাদের আখড়া আর অনিয়ম দুর্নীতির কারণে রেলওয়ে হাসপাতালটি নিজেই অসুস্থ হয়ে পড়েছে। সরকার রেল বিভাগের লোকজনের চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করার জন্য রেলওয়ে হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করেন। ডাক্তার নিয়োগ নার্স ও ওষুধ পত্রাদি দিয়ে থাকেন। অথচ জামালপুর রেলওয়ে হাসপাতালে এসবের বালাই নেই। রেলওয়ে হাসপাতালটি চলছে নামের উপর। সরেজমিনে হাসপাতালটি ঘুরে দেখা ও জানা গেছে, ওষুধ চুরি নিত্য দিনের ঘটনা। রেলওয়ে হাসপাতালে ২/৩ স্টাফ ওষুধ চুরি করে বাজারজাত করছে।
এদিকে প্রতিদিন ডাক্তার থাকার কথা থাকলেও তিনি সপ্তাতে ১ দিন এসে ২/৩ ঘন্টা থেকে চলে যান। তাই রেলওয়ের কয়েকজন কর্মচারী এ প্রতিবেদককে জানান একেই বলে রেলওয়ে হাসপাতাল।
এদিকে প্রতিদিন ডাক্তার থাকার কথা থাকলেও তিনি সপ্তাতে ১ দিন এসে ২/৩ ঘন্টা থেকে চলে যান। তাই রেলওয়ের কয়েকজন কর্মচারী এ প্রতিবেদককে জানান একেই বলে রেলওয়ে হাসপাতাল।
কাজী রফিকুল হাসান ৫ ফেব্র“য়ারী জামালপুর জেলা প্রতিনিধি ॥ জামালপুর জেলার মানুষ চড়া সুদের ঋণে জড়িয়ে সর্বশান্ত হচ্ছেন অভাবীরা। সুদের কারবারীরা ব্যক্তি উদ্দ্যোগে অথবা অনুমোদনহীন সমিতি গড়ে চালিয়ে যাচ্ছেন রমরমা সুদের ব্যবসা। লাগামহীন সুদের কারবারে নিঃস্ব হয়ে এলাকা ছাড়তে বাধ্য হচ্ছেন অনেক অভাবী মানুষ। জেলা শহর সহ ৭টি উপজেলার আনুমানিক ২/৩ হাজার সুদখোর মহাজন চালিয়ে যাচ্ছেন সুদের ব্যবসা। ঋণ গ্রহীতাদের কাছ থেকে প্রতি এক হাজার টাকায় মাসিক ১০০ টাকা সুদ নেয়া হয়। এমন ব্যাপক হারের সুদ পরিশোধ করতে গিয়ে চোখে সর্ষের ফুল দেখেন ঋণ গ্রহীতারা। যারা ঋণ শোধ করতে পারেন না তাদের প্রতিমাসের সুদ জমা হয় আসলের সঙ্গে। এক পর্যায়ে সুদ আসলের সঙ্গে যুক্ত হয়ে বিপদজ্জনক হয়ে দাড়ায় আসলের পরিমাণ। সুদ বা আসল পেতে দেরি হলে মহাজনরা ঋণ গ্রহিতাদের বাড়ীতে চড়াও হয়ে আসবাবপত্র, গরুছাগল, হাঁস-মুরগী সহ জিনিসপত্র নিয়ে যায়। সুদের ব্যবসা এতটাই জমজমাট গ্রামাঞ্চলের মানুষ দিশেহারা হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে সুদের যাতাকলে পিষ্ট হয়ে সদর উপজেলার পাথালিয়া, পলাশগড়, লীরচর, রায়ের চর, টেবির চর, তুলশীর চর, কাজিয়ার চর, চর গজারিয়া,সাহেবের চর সহ আরো বেশ কয়েকটি এলাকার মানুষ বাড়ী ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। সরেজমিনে এসব এলাকা ঘুরে জানা গেছে, এসব এলাকার মহাজনরা চক্রবৃদ্ধি হারে সুদের ব্যবসা করছে। এদিকে এছাড়া মেলান্দহ, মাদারগঞ্জ, ইসলামপুর দেওয়াগঞ্জ, বকশীগঞ্জ ও সরিষাবাড়ী উপজেলায় সুদের ব্যবসা জমজমাট আকার ধারন করেছে। বিভিন্ন সুত্রমতে জানা গেছে, ডাংধরা, পারারামপুর, হাতীবান্দা, বাট্টাজোড়, চিকাজানী, নাংলা, আদ্রা, মহাদান, ভাটারা, কামরাবাদ, পোগলদিঘা, সাতপোয়া,ডোয়াইল ও আগুনা এলাকার মানুষ সুদের জাতাকলে পিষ্ট। তাই সচেতন মহলের প্রশ্ন সুদের ব্যবসা আর কতকাল থাকবে।
কাজী রফিকুল হাসান ৪ ফেব্র“য়ারী জামালপুর জেলা প্রতিনিধি ॥ মাদক এখন সামাজিক ঘাতক ব্যাধি। মাদকের এতটাই ছড়াছড়ি হাতের নাগালেই সব ধরনের মাদক পাওয়া যাচ্ছে। শহরের বিভিন্ন পাড়া মহল্লায় মাদকে ছেয়ে গেছে। মাদকের ভয়াল ছোবলে পড়ে যুব সমাজ দিন দিন ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। জামালপুর শহরে মাদক বিক্রির একটি বিশেষ চক্র ওতোপ্রতোভাবে জড়িত রয়েছে। আশ্চর্য্যরে ব্যাপার মাদক বেঁচাকেনার পেছনে কতিপয় হলুদ সাংবাদিক সহায়তা করে যাচ্ছে। হলুদ সাংবাদিকদের কারনে মাদক ব্যবসায়ীরা মাদক বিক্রি করতে সহজলভ্য হচ্ছে আর হলুদ সাংবাদিকরা প্রতিদিন মাসোয়ারা পাচ্ছে। একাধিক সুত্রমতে জানা গেছে, এসব হলুদ সাংবাদিকরা মাদক পাচার কাজেও জড়িত রয়েছে। তারা সীমান্ত গলিয়ে মোটর সাইকেলের মাধ্যমে ইয়াবা, টিটি ইনজেকশন, গাঁজা বিভিন্ন ধরনের মাদক পাচার করছে। আর এই পাচারের সাথে স্থানীয় পুলিশ জড়িত রয়েছে। বিশ্বস্ত সুত্রমতে আরো জানা গেছে,পতিতা পল্লী মাদক বিক্রির মূল আখড়া। পতীতা পল্লীতে মাদক বিক্রিতে নিয়ন্ত্রন করছে ওই হলুদ সাংবাদিকরা। হলুদ সাংবাদিকদের কারণে মাদক ব্যবসা ভয়াবহ আকার দারন করেছে। এদিকে মেলান্দহ,মাদারগঞ্জ, ইসলামপুর, দেওয়ানগঞ্জ ও সরিষাবাড়ী উপজেলায় মাদক অহরহ পাওয়া যাচ্ছে। এসব উপজেলাগুলোতেও হলুদ সাংবাদিক মাদক ব্যবসা নিয়ন্ত্রন করছে। ফলে জামালপুর মাদকের স্বর্গরাজ্যে পরিণত হয়েছে।
কাজী রফিকুল হাসান ৪ ফেব্র“য়ারী জামালপুর জেলা প্রতিনিধি ॥ কৃষি শিল্পে নব জাগরন সৃষ্টি করেছে সুষম সার। এ সার সম্পর্কে জামালপুরের কৃষক মহলে পরিচিত ছিল না। মাটি পরীার মাধ্যমে ৭টি উপজেলায় কৃষকরা সবজি চাষে সুষম সার ব্যবহার করেছে। সুষম সারের কারণে সদর উপজেলার লক্ষ্মীরচর, রায়ের চর, টেবির চর, তুলসীর চর, কাদিয়ার চর, চর গজারিয়া, চর যথার্থপুর, কুলুর চর, চর হামিদপুর, বাঁশচড়া, হামিদপুর, শ্রীপুর শাহবাজপুর, বলাইয়ের চর, দিগপাইত, নারিকেলী, ছোনটিয়া, মেষ্টা, হাজীপুর, ছাতিয়ানী, তিতপলা, ইটাইল, নান্দিনা, নরুন্দী,রশিদপুর, শরীফপুর এলাকার কৃষকরা সবজি চাষে সুষম সার প্রয়োগ করে বাম্পার ফলন পেয়েছে। লীরচর গ্রামের কৃষক ফারুক জানান, সুষম সার এতো উপকারী যে কোন ফসল বাম্পার হবে। সুষম সার সম্পর্কে কৃষি বিভাগের সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা এ প্রতিবেদককে জানান, সুষম সার এমন এক ধরনের সার মাটিতে মিশে গেলে মাটি রসালো থাকে। তাছাড়া রোগবালই, পোকার আক্রমণ ও আগাছা প্রতিরোধে সহায়তা করে থাকে। এদিকে সুষম সার বেশি প্রয়োগ হয়েছে মেলান্দহ, মাদারগঞ্জ, ইসলামপুর, দেওয়ানগঞ্জ, বকশীগঞ্জ,সরিষাবাড়ী উপজেলায়। এসব উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা এ প্রতিবেদকে জানান, সুষম সার জৈব সারের সমতুল্য। মাটিকে সবসময় রসালো রাখে যারজন্যে ফলন বাম্পার হয়। প্রথম বারের মতো ডাংধরা, পারারামপুর, হাতীবান্দা,বাগারচর,বাট্টাজোড়, চিকাজানী, মহাদান, ভাটারা, কামরাবাদ, পুগলদিঘা, সাতপোয়া,দোয়াইল ও আওনা এলাকার কৃষকরা সবজি জমিতে সুষম সার প্রয়োগ করে এতো বাম্পার ফলন হয়েছে যা বিগত কোন মৌসুমে হয়নি। সুষম সার কৃষকদের জন্য আর্শিবাদ হয়ে এসেছে।
নিউজ ডেস্ক::গতকাল রোবাবার সকালে ডুমুরিয়ার খর্নিয়ায় এক মাদকাসক্ত পুত্রের ছুরিকাঘাতে আহত পিতা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এ ঘটনায় মাদকাসক্ত পুত্র ফারুক হোসেন মীরকে আটক করেছে পুলিশ। পুলিশ ও এলাকাবাসী সুত্রে জানাযায় উপজেলার খর্নিয়ায় মীর রুস্তম আলীর পুত্র ফারুক হোসেন ঘটনার দিন সকালে তার পিতার কাছে টাকা দাবীর এক পর্যায়ে ঘর থেকে ছুরি বের করে পিতার উপর ছুরিকাঘাত করে। এতে পিতা রুস্তম আলী গুরুতর¡ রক্তাক্ত যখম হয়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে । ডুমুরিয়া হাসপাতালে ভর্তি করে। এ ঘটনায় পিতা রুস্তমআলী মীর বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছে।
গতকাল সন্ধ্যায় ডুমুরিয়া উপজেলা আ’লীগ নেতা অজয় সরকার প্রেস কাবে সাংবাদিকদের সাথে এক মত বিনিময় করেন। প্রেস কাবের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক খান আজিজুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মত বিনিময় সভায় বক্তব্য দেন উপজেলা আ’লীগের সহ-সভাপতি এম এম সুলতান আহম্মেদ, যুবলীগ নেতা নুরুজ্জামান মিলন, সাংবাদিক অরুন দেবনাথ, শেখ সিরাজুল ইসলাম, আ’লীগ নেতা নাছির গোলদার, সরোয়ার খান, আশরাফুল আলম, সেতু, কাজল শেখ প্রমুখ।

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল খুলনা জেলা শাখার সহ-সভাপতি ও রুপসা উপজেলা বিএনপির সভাপতি সাবেক ছাত্র নেতা শেখ আ: রশিদের আশু রোগ মুক্তি ও সুস্থতা কামনা করে ডুমুরিয়া উপজেলা বিএনপির উদ্যোগে গতকাল রবিাবর বিকেলে বিএনপির দলীয় কার্যালয় মিলাদ মাহফিল ও দোয়া অনুষ্টিত হয়। উক্ত মিলাদ মাহফিল ও দোয়া অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ডুমুরিয়া উপজেলা বিএনরি সভাপতি চেয়ারম্যান খান আলী মুনসুর, উপজেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক চেয়ারম্যান মোল্যা মোশাররফ হোসেন মফিজ, অরুন কুমার গোলদার, মোল্যা আবুল কালাম, গাজী আ: হালিম, মোল্যা মসিউর রহমান, শেখ শাহিনুর রহমান, মোল্যা কবির হোসেন, মনির গোলদার, মোল্যা একরামুল হোসেন, ডা. আলম, দেলোয়ার হোসেন, শেখ ফরহাদ হোসেন, মাও: খলিলুর রহমান, মাও: আব্দুস ছালাম আল আজাদ, মোল্যা আ: অদুদ, গাজী ইছাক আলী, মুনসুর আলী, মো: মুস্তাইন, শহীদ খান, মোস্তফা খান (মেম্বর), পারভেজ গাজী, মুফতী ওমর ফারুক, হাফেজ কবির, শেখ আমিনুর রহমান, আ: গফ্ফার শেখ, সোহাগ গোলদার, হাফেজ আব্দুর রশিদ, হাফেজ আলমগীর, প্রমুখ নেতৃবৃন্দ। মিলাদ মাহফিল ও দোয়া অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন ডুমুরিয়া বারোয়ানী বাজার জামে মসজিদের খতিব হাফেজ মাও: সেকেন্দার আলী।
নিজস্ব সংবাদদাতা:: ডুমুরিয়ার খর্নিয়া সৃষ্টিশীল তরুন সংঘের আয়োজনে ৮ দলীয় ক্রিকেট টুনামেটের ফাইনাল খেলা গতকাল শনিবার খর্নিয়া মাঠে আনুষ্ঠিত হয়। শাহাপুর একাদশ ও চুকনগর একাদশের মধ্যেকার খেলায় টসে জিতে চুকনগর একাদশ প্রথমে ব্যাট করে নিধারিত ২০ ওভারে সব কয়টি ইউকেট হারিয়ে ৯৭ রান করে। ৯৮ রানের জয়ের লক্ষে খেলতে নেমে শাহাপুর একাদশ ২ ইউকেট হারিয়ে কাক্ষিত জয়ের লক্ষে পৌছিয়ে চুকনগর একাদশকে ৮ ইউকেটে পরাজিত করে চ্যাম্পিয়ান হওয়ার গৌরব অর্জন করে। খেলা শেষে পুরষ্কার বিতরন উপলক্ষ্যে এক আলোচনা সভা কাবের সভাপতি জুয়েল রানার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। পুরষ্কার বিতরনী সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ন সম্পাদক তরুন সমাজ সেবক মেহেদী হাসান বিপ্লব। সভায় বক্তব্য দেন সমির দে গোরা,জাহাবক্স, রমেন্দ্রনাথ কুন্ডু, দিপঙ্ক কুন্ডু, কামরুল ইসলাম, প্রমুখ। সভা শেষে প্রধান অতিথি চ্যাম্পিয়ান ও রানর্সআপ দলের হাতে ট্রফি তুলে দেন।
কাজী রফিকুল হাসান ০৩ ফেব্র“য়ারী জামালপুর জেলা প্রতিনিধি ॥ সারা দেশে ভূমি দসু্যুদের দৌরাত্ম বাড়ছে। সেদিক দিয়ে জামালপুর পিছিয়ে নেই। দেশের চরাঞ্চলের খাস জমি ভূমি দস্যুরা দখল কাজে মেতে উঠেছে। যে ভাবে পাড়ছে সে ভাবেই দখল করছে। দখল নিয়ে চরবাসীদের মধ্যে বিরোধ লেগেই আছে। এ নিয়ে মারামারি ও মামলা মোকদ্দমাও হয়েছে। বিশেষ করে যমুনা ও ব্রহ্মপুত্র নদের জেগে উঠা চরগুলো নিয়েই মারমার কাটকাট অবস্থা বিরাজ করছে। অথচ সরকারী খাস জমি বিতরনের নিয়ম নীতি রয়েছে। আইনে আছে খাস জমিগুলোর মালিক ভূমিহীনরা। ভূমিহীনরা এসব জমি পাওয়াতো দূরের কথা ভূমিদস্যুদের কবজায় চলে গেছে। বিভিন্ন সুত্র মতে জানা গেছে, খাস জমি দখল নিয়ে ভূমি দস্যুরা গড়ে তুলেছে সিন্ডিকেট। এ সিন্ডিকেট সদস্যরা খুবই প্রভাবশালী। তারা স্থানীয় প্রশাসনকে ম্যানেজ করে একের পর এক খাস জমি দখল করে যাচ্ছে। আরো জমি দখল করার পাঁয়তারা করছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সরকারি দলের মাঠ পর্যায়ের কতিপয় নেতা দখল কাজ করে যাচ্ছে। এতে তারাও মাসোহারা পাচ্ছে। এসব নেতাদের মূল কাজ হচ্ছে প্রশাসনকে ম্যানেজ করা। মেলান্দহ, মাদারগঞ্জ, ইসলামপুর, দেওয়ানগঞ্জ, বকশীগঞ্জ, সরিষাবাড়ী ও জামালপুর সদর উপজেলার খাস জমিগুলো ভূমি দস্যুদের কবজায় ।
কাজী রফিকুল হাসান ০৩ ফেব্র“য়ারী জামালপুর জেলা প্রতিনিধি ॥ আমন মৌসুমে জামালপুরের কৃষকরা মার খেয়ে নেমে পড়েছে বোরো চাষে। অন্যান্য ফসলের চেয়ে বোরো চাষে খরচ বেশি। সেচ ছাড়া বোরো চাষ সম্ভব হয় না। বোরো চাষকে ঘিরে কৃষকরা পড়েছে চরম বিপাকে। বিশেষ করে ভেজাল কীট নাশকের বেড়াজালে পড়ে কৃষকরা নিশ্চিহ্ন হয়ে পড়েছে। কীট নাশক আসল নকল বুঝার উপায় নেই। ভেজাল কীট নাশক বিক্রি এতোটা বেড়েছে স্বয়ং কৃষি বিভাগ বিপাকে পড়েছে। জেলার কৃষি শিল্পকে ধ্বংস করার জন্য একটি সংঘবদ্ধ চক্র ভারতীয় নিম্নমানের কীটনাশক এনে দেশীয় নামিদামি কোম্পানীর মোড়কে ভর্তি করে বাজারজাত করছে। জামালপুর সদর উপজেলার লক্ষ্মীরচর, রায়ের চর, টেবির চর, তুলসীর চর, কাদিয়ার চর, চর গজারিয়া, চর যথার্থপুর, কুলুর চর, চর হামিদপুর, বাঁশচড়া, হামিদপুর, শ্রীপুর শাহবাজপুর, বলাইয়ের চর, দিগপাইত, নারিকেলী, ছোনটিয়া, মেষ্টা, হাজীপুর, ছাতিয়ানী, তিতপলা, ইটাইল, নান্দিনা, নরুন্দী,রশিদপুর, শরীফপুর সহ আরো অসংখ্য এলাকায় বোরো চাষ হচ্ছে। সরেজমিনে এসব এলাকা ঘুরে দেখা ও জানা গেছে, এ অঞ্চলের কৃষকদের একটাই সমস্যা কীটনাশক। গেলো বছর বোরো জমিতে কীটনাশক প্রয়োগ করে পোকা দমন করা যায়নি। যার জন্যে ফলন কম হয়েছে। এবারও একই সমস্যা দেখা দিয়েছে। কৃষক ফারুক জানান, ভেজাল কীট নাশকের কারনে বোরো আবাদ ব্যহত হচ্ছে। এছাড়া মেলান্দহ, মাদারগঞ্জ,ইসলামপুর, দেওয়ানগঞ্জ,বকশীগঞ্জ,সরিষাবাড়ী উপজেলাধীন ডাংধরা, পারারামপুর, হাতীবান্দা,বাগারচর,বাট্টাজোড়, চিকাজানী, মহাদান, ভাটারা, কামরাবাদ, পুগলদিঘা, সাতপোয়া,দোয়াইল ও আওনা এলাকার কৃষকরা ভেজাল কীটনাশকের কারনে বোরো আবাদ ভেস্তে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। কৃষি বিভাগের সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা বলেন, ভেজাল কীটনাশক জমিকে অনুর্বর করে তুলে। ভেজাল কীটনাশক প্রতিরোধে ব্যবস্থা না নিলে গ্রামীণ অর্থনীতিতে বিরূপ পভাব পড়বে।
শেখ সিরাজুল ইসলাম,শনিবার বিকেলে দলীয় কার্যালয় ডুমুরিয়া উপজেলা কৃষক দলের উদ্যোগে এক কর্মী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা কৃষক দলের আহবায়ক শেখ আতিয়ার রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন উপজেলা বিএনপির সভাপতি খান আলী মুনসুর। প্রধান বক্তা ছিলেন জেলা কৃষকদলের সভাপতি নুরুল হুদা খান বাবু। বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন উপজেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক চেয়ারম্যান মোল্যা মোশাররফ হোসেন মফিজ, জেলা কৃষক দল সাধারন সম্পাদক তৌফিকুর রহমান তপু ও চেয়াম্যান শেখ দিদারুল হোসেন দিদার। বক্তব্য দেন গাজী আ: হালিম, মোল্যা মসিউর রহমান, শেখ হাফিজুর রহমান, শেখ ফরহাদ হোসেন, মোল্যা কবির হোসেন, মনির হোসেন গোলদার, ডা. আলম, মঞ্জুর রশিদ, শেখ ফরহাদ হোসেন, মোল্যা মনিরুল ইসলাম, শেখ আরিফুর রহমান, তাজানুর রহমান, জামাল হোসেন মোল্যা, মো: শাহবুদ্দিন মোড়ল(মেম্বর), আ: খালেক, শেখ আ: মান্নান, আতাউর রহমান মোড়ল, নছির উদ্দিন, জাহিদ হোসেন, মুক্ত, আফজাল হোসেন, বিপুল মন্ডল, লুৎফর রহমান, শহীদ খান, মো: সুমন, সোহাগ গোলদার প্রমুখ।
জি এম আব্দুস ছালাম, ডুমুরিয়া খুলনা নারী নির্যাতন প্রতিরোধ এবং সিডও সনদ বিষয়ক মতবিনিময় সভা গতকাল শনিবার সকালে উপজেলা সদরে শহীদ জোবায়েদ আলী মিলনায়তনে আয়োজন করা হয়।
বে-সরকারী সংস্থা সুইফটের আয়োজনে এবং স্টেসটুয়ার্ডস ডেভেলপমেন্টের সহযোগীতায় মতবিনিময় সভায় সভাপত্বি করেন উপজেলা মহিলা বিষয়ক অফিসার সুরাইয়া সিদ্দিকা। মত বিনিময় সভায় বিভিন্ন শিা প্রতিষ্ঠানের শিক, শিার্থী, সে-সরকারী সংস্থার কর্মকর্তা ও সাংবাদিক বৃন্দ অংশ গ্রহন করেন। ধর্মীয় দৃষ্টি মেনে চলে নারী নির্যাতন প্রতিরোধ এবং সিডও সনদের আপত্তি ধারা-২ ও ১৬Ñ১(গ) পরিবর্তন করার পে সভায় বক্তব্য রাখেন অঞ্জনা বালা বিশ্বাস, সুফিয়া কামাল ফেলো, ও নারী নির্যাতন দমন খুলনা আদালতের বিশেষ পি পি এ্যাডভোকেট অলোকা নন্দ দাস, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শোভারানী হালদার, প্রভাষক অনিন্দ সুন্দর মন্ডল, দেব নারায়ন পাল, বে-সরকারী সংস্থার সবিতারানী মন্ডল, সিমা রায়, রবিউল ইসলাম, বিকাশ মল্লিক, ও বাবুল আক্তার প্রমুখ।
বে-সরকারী সংস্থা সুইফটের আয়োজনে এবং স্টেসটুয়ার্ডস ডেভেলপমেন্টের সহযোগীতায় মতবিনিময় সভায় সভাপত্বি করেন উপজেলা মহিলা বিষয়ক অফিসার সুরাইয়া সিদ্দিকা। মত বিনিময় সভায় বিভিন্ন শিা প্রতিষ্ঠানের শিক, শিার্থী, সে-সরকারী সংস্থার কর্মকর্তা ও সাংবাদিক বৃন্দ অংশ গ্রহন করেন। ধর্মীয় দৃষ্টি মেনে চলে নারী নির্যাতন প্রতিরোধ এবং সিডও সনদের আপত্তি ধারা-২ ও ১৬Ñ১(গ) পরিবর্তন করার পে সভায় বক্তব্য রাখেন অঞ্জনা বালা বিশ্বাস, সুফিয়া কামাল ফেলো, ও নারী নির্যাতন দমন খুলনা আদালতের বিশেষ পি পি এ্যাডভোকেট অলোকা নন্দ দাস, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শোভারানী হালদার, প্রভাষক অনিন্দ সুন্দর মন্ডল, দেব নারায়ন পাল, বে-সরকারী সংস্থার সবিতারানী মন্ডল, সিমা রায়, রবিউল ইসলাম, বিকাশ মল্লিক, ও বাবুল আক্তার প্রমুখ।
আ: লতিফ মোড়ল ,,ডুমুরিয়ার রঘুনাথপুরের এক খুচরা সার ব্যবসায়ীকে বি-নির্দেশ বর্হিভুত ভাবে সার পরিবহনের দায়ে ৫ হাজার টাকা জরিমানা এবং ৫০ বস্তা টি এসপি সার জব্দ করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: কামরুল হাসান ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে এ আদেশ দেন। সংশ্লীষ্ট সুত্রে জানাগেছে উপজেলার রঘুনাথপুর ইউনিয়নের খুচরা সার ব্যবসায়ী চন্ডিদাস দেওয়ান বি-নির্দেশ বর্হিভূত ভাবে ৫০ বস্তা টি এস পি সার যশোরের অভয় নগর উপজেলার নোয়াপাড়া থেকে বিক্রয়ের জন্য খরিদ করে একটি পিকাআপ ভ্যান যার নং-খুলনা মেট্রো ন-১১-০৪৬৬ যোগে বহন করে আনার পথে রঘুনাথপুর এলাকায় পৌছালে স্থানীয় জনতার সন্ধেহ হয়। বিষয়টি তারা স্থানীয় রঘুনাথপুর পুলিশ ক্যাম্প ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার কে অবহিত করে। পুলিশ ৫০ বস্তা টিএসপি সার সহ পিকআপ ভ্যানটি জব্দ করে থানায় নিয়ে আসে।
জাহিদুর রহমান বিপ্লব, ডুমুরিয়া খুলনা: গতকাল শুক্রবার বিকেলে ডুমুরিয়ার খর্নিয়ায় জননী কাচামালের আড়ৎ উদ্ধোধন উপলে এক আলোচনা সভা স্থানীয় কাঁচামাল আড়ৎ এ অনুষ্ঠিত হয়। জননী কাঁচামাল আড়ৎ এর প্রতিষ্ঠাতা মেহেদী হাসান বিপ্লব এর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন খুলনা ৫আসনের সংসদ সদস্য নারায়ন চন্দ্র চন্দ। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এম মসিউর রহমান, উপজেলা আ’লীগের সভাপতি শাহনেওয়াজ হোসেন জোয়াদ্দার, সাবেক প্রধান শিক মোকছেদ আলী, কৃষক আন্দোলন নেতা কামাা প্রসাদ রায় চৌধুরী, শেখ হেফজুর রহমান, কাজী ইমরান, নিমাই মল্লিক, শেখ সওকত হোসেন, এস এম হুমায়ুন কবির, মজিদ, সবুর বিশ্বাস, মহাসিন, সমির দেগুরা, জাহাবক্স, শহিদুল ইসলাম মোড়ল, করিম সরদার, আনোয়ার, মিঠু, ইসলাম ,জুয়েল, ফিরোজ প্রমুখ। আলোচনা সভা শেষে প্রধান অতিথি ফিতা কেটে জননী কাচামাল আড়ৎ উদ্ধোধন করেন।
জাহিদুর রহমান বিপ্লব, ডুমুরিয়া খুলনা: বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল ডুমুরিয়া উপজেলা ছাত্র দলের উদ্যোগে গতকাল শুক্রবার সকালে ডুমুরিয়া আলিয়া মাদ্রাসা প্রাঙ্গনে ইউনিয়ন কমিটি গঠন করার লক্ষে এক জরুরী কর্মসভা অনুষ্ঠিত হয়। থানা ছাত্র দলের আহবায়ক শেখ ফরহাদ হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য দেন থানা ছাত্র দলের ১নং যুগ্ম আহবায়ক মোল্যা মনিরুল ইসলাম, শেখ ফরিদুল ইসলাম, তাজনুর খান, গাজী আব্দুল আজিজ, মিনারূল ইসলাম, সোহাগ গোলদার, নান্টু সরদার, আকরাম হোসেন, জাফর মোড়ল, মফিজুল ইসলাম, শিহাব, রব গাজী, আলামিন, রিয়াদ, লিটন, আমান, নাহিদ, আরিফ, রাসেল মানিক, ডলার, নাছিমুল প্রমুখ।
জি এম আব্দুস ছালাম, ডুমুরিয়া খুলনা, ডুমুরিয়া (খুলনা) সংবাদদাতা:ডুমুরিয়া উপজেলার রঘুনাথপুর পুলিশ ক্যাম্পের সদস্যরা শুক্রবার রাতে প্রায় অর্ধলক্ষাধিক টাকার ৫০ বস্তা বিদেশী টি এস পি সার সহ একটি পিকআপ ভ্যান ক্যাম্পের সামনে রাস্তা থেকে পরিত্যাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে।
এলাকাবাসী জানান, রঘুনাথপুর ইউনিয়নে নিযুক্ত খুচরা সার বিক্রেতা চন্ডি চরন দেওয়ান যশোর জেলার নওয়াপাড়া বাজারের একটি সারের দোকান থেকে লেবাননের তৈরী ২৫ বস্তা ও তিউনিশিয়ার তৈরী ২৫ বস্তা টি এসপি সার কিনে নিয়ে একটি পিকআপ ভ্যানে করে শুক্রবার রাতে রঘুনাথপুর বাজারে নিজ দোকানে ফিরছিলেন। পিকআপ ভ্যানটি রধুনাথপুর পুলিশ ক্যাম্পের সামনে আসলে স্থানীয় লোকজন দাঁড়াতে বলে । এসময় পিকআপ ভ্যানের চালক গাড়ী থেকে লাফিয়ে পড়ে পালিয়ে যায়। ক্যাম্পের টু আইসি মতিয়ার রহমান জানান, লোকজনের চিৎকার শুনে রাস্তায় গিয়ে দেখি একটি পিকআপ দাঁড়িয়ে আছে।রাস্তায় থাকা লোকজন জানান, পিকআপ ভ্যানে অবৈধ সার আছে। এ সময় কোন মালিক না পেয়ে ক্যাম্পের মধ্যে নিয়ে আসি। জানা যায় এ সার স্থানীয় সার ডিলার চন্ডি চরন দেওয়ানের এব্যাপারে ক্যাম্পে একটি সাধারণ ডায়েরী করা হয়েছে। তবে কোন কাগজ পত্র পাওয়া যায়নি । সার ডিলার চন্ডি চরন দেওয়ান জানান, বি সি আই সি কর্তৃক যে সার সরবরাহ করা হয় তা নিম্ম মানের হওয়ায় কৃষকরা কিনতে চায় না। ফলে নওয়াপাড়া সহ বিভিন্ন এলাকা থেকে উন্নত মানের সার কিনে এনে বিক্রি করে থাকি। ব্যবসা বাচাঁতে নওয়াপাড়া থেকে আমি উক্ত সার কিনে এনেছি। বি সি আইসি ডিলার গাজী আবুল কালাম জানান, নওয়াপাড়া সহ বিভিন্ন স্থানে চোরাই ভাবে সার বিক্রি হয়ে থাকে । তবে চন্ডি চরণ দেওয়ান কখনো আমার কাছ থেকে সার ক্রয় না করে চোরাই সার কিনে বিক্রি করে থাকে ।
এলাকাবাসী জানান, রঘুনাথপুর ইউনিয়নে নিযুক্ত খুচরা সার বিক্রেতা চন্ডি চরন দেওয়ান যশোর জেলার নওয়াপাড়া বাজারের একটি সারের দোকান থেকে লেবাননের তৈরী ২৫ বস্তা ও তিউনিশিয়ার তৈরী ২৫ বস্তা টি এসপি সার কিনে নিয়ে একটি পিকআপ ভ্যানে করে শুক্রবার রাতে রঘুনাথপুর বাজারে নিজ দোকানে ফিরছিলেন। পিকআপ ভ্যানটি রধুনাথপুর পুলিশ ক্যাম্পের সামনে আসলে স্থানীয় লোকজন দাঁড়াতে বলে । এসময় পিকআপ ভ্যানের চালক গাড়ী থেকে লাফিয়ে পড়ে পালিয়ে যায়। ক্যাম্পের টু আইসি মতিয়ার রহমান জানান, লোকজনের চিৎকার শুনে রাস্তায় গিয়ে দেখি একটি পিকআপ দাঁড়িয়ে আছে।রাস্তায় থাকা লোকজন জানান, পিকআপ ভ্যানে অবৈধ সার আছে। এ সময় কোন মালিক না পেয়ে ক্যাম্পের মধ্যে নিয়ে আসি। জানা যায় এ সার স্থানীয় সার ডিলার চন্ডি চরন দেওয়ানের এব্যাপারে ক্যাম্পে একটি সাধারণ ডায়েরী করা হয়েছে। তবে কোন কাগজ পত্র পাওয়া যায়নি । সার ডিলার চন্ডি চরন দেওয়ান জানান, বি সি আই সি কর্তৃক যে সার সরবরাহ করা হয় তা নিম্ম মানের হওয়ায় কৃষকরা কিনতে চায় না। ফলে নওয়াপাড়া সহ বিভিন্ন এলাকা থেকে উন্নত মানের সার কিনে এনে বিক্রি করে থাকি। ব্যবসা বাচাঁতে নওয়াপাড়া থেকে আমি উক্ত সার কিনে এনেছি। বি সি আইসি ডিলার গাজী আবুল কালাম জানান, নওয়াপাড়া সহ বিভিন্ন স্থানে চোরাই ভাবে সার বিক্রি হয়ে থাকে । তবে চন্ডি চরণ দেওয়ান কখনো আমার কাছ থেকে সার ক্রয় না করে চোরাই সার কিনে বিক্রি করে থাকে ।