আঃ লতিফ মোড়ল, ডুমুরিয়া, খুলনা-ডুমুরিয়া উপজেলার রঘুনাথপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের আলোচিত দারোগা আমজাদ হোসনের বিরুদ্ধে শাহপুর গ্রামের একটি মৎস্য ঘেরের জমি দখল সংক্রান্ত দু’পরে মারামারি ঘটনার মামলায় প্রভাবিত হয়ে আদালতের নির্দেশ অমান্যকারিদের পে চার্জশীট দিয়ে একটি নিরীহ পরিবারকে যড়যন্ত্রমূলকভাবে ফাঁসানোর কাজে লিপ্ত হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এলাকাবাসী ও অনুসন্ধানে জানাযায়; ডুমুরিয়া উপজেলার শাহপুর গ্রামের শহিদুল ইসলামের সাথে একই এলাকার মহসীন গাজীর শাহপুর মৌজায় ১৭ শতাংশ জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। যাহা নিয়ে খুলনার দেওয়ানী আদালতে একটি বাটোয়ারা মামলা বিচারাধীন। এ বিষয়ে শহিদুল ইসলাম ডুমুরিয়া থানায় একটি জিডি করেন। বিষয়টি নিয়ে রঘুনাথপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের আইসি আমজাদ হোসেন দু’প নিয়ে দরবার বসান। এস আই আমজাদ কাগজপত্র না দেখেই ডুমুরিয়া সদরে মতাসীন দলের এক পাতি নেতার তদবীরে তিনি শহিদুল ইসলামকে ঘের ছেড়ে দিতে বলেন। তখন শহিদুল বিষয়টি নিয়ে উর্ধ্বতন পুলিশকর্তার স্বরণাপন্ন হলে এস আই আমজাদ তাতে প্তি হন এবং সুযোগমত শহিদুলকে দেখে নেবারও হুমকি দেন। একপর্যায়ে প্রতিপ মহসীন গাজী ওই ঘের দখলের পায়তারা করতে থাকলে নিরুপায় শহিদুল ইসলাম গত ৭ জুলাই বিজ্ঞ আদালতে প্রতিকার চেয়ে ১৪৪/১৪৫ ধারা ফৌঃ কাঃ বিধিতে একটি মামলা করেন। বিজ্ঞ আদালতের নির্দেশে থানা পুলিশ পদ্বয়কে স্ব স্ব অবস্থানে থেকে শান্তি শৃংখলা বজার রাখার নোটিশ দেন। কিন্তু বিজ্ঞ আদালতের এ আদেশ অমান্য করে মহসীন গাজী ভাড়াটিয়া লোকজন নিয়ে ১৩ জুলাই সকালে ঐ ঘের দখলের জন্য ভেড়ি বাঁধ কাটতে শুরু করেন। খবর পেয়ে ডুমুরিয়া থানা পুলিশ এসে ঘের কাটা বন্ধসহ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন। এ ঘটনায়ও শহিদুল আদালতে মামলা করেন।
গত ৩১ আগষ্ট মহাসিন গাজী ও তার লোকজন ওই ঘের আবারও দখলে নেয়ার চেষ্টা করতে থাকলে সকালে শহিদুল ইসলাম রঘুনাথপুর ক্যাম্পে হাজির হন। তখন ক্যাম্প ইনচার্জ এস আই আমজাদ হোসেন শহিদুলকে ধমক দিয়ে বলেন; নির্লজ্জের মত কেন ক্যাম্পে এসেছেন? আমি আপনার জন্য ফোর্স নিয়ে বসে আছি নাকি ? এবার আসলে জেলে ঢুকিয়ে দেব। এভাবে দেড় ঘন্টা ক্যাম্পে বসিয়ে রাখেন। সুযোগে প্রতিপরে লোকেরা বাঁশের খুটি পুঁতে ঘের দখলের কাজটি করতে থাকে। পরে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার নির্দেশে ক্যাম্পের টু আইসি মতিয়ার রহমান ঘটনা স্থলে এসে দখল চেষ্টাকারিদের নিবৃত করে চলে আসেন। শহিদুল ইসলাম পুলিশের সাথে এসে শাহপুর বাজারে অবস্থান করেন। পরে শহিদুলের পরিবারের লোকজন ঐ বাঁশ খুটি উঠিয়ে ফেলেন। খবর পেয়ে প্রতিপ মহসীন গাজীর লোকজন দা, শাবল ও লাঠি নিয়ে শহিদুলের ভাই শরিফুল ইসলাম (৩৮) ুশামসুর রহমান (৭৫), সিরাজুল ইসলাম (৩৫), ইজাহারুল ইসলাম (৩২), মনিরুল ইসলাম (২৮),আবুল কাশেম (১৮) কে কুপিয়ে ও পিটিয়ে মারাত্মক জখম করে। সংঘর্ষের একপর্যায়ে অপরপরে আলেয়া বেগম (৩৮), ইয়াসিন বেগম (৩০), হাফিজুর রহমান (৩০) ও শাহিন গাজী (২৫) আহত হয়। ঘটনায় ডুমুরিয়ায় থানায় দু’প পৃথক দুটি মারামারি মামলা দায়ের করেন। মামলা দুটি তদন্ত করেছেন ওই বিতর্কিত দারোগা আমজাদ হোসেন। তদন্তে তিনি মূল ঘটনাকে আঁড়াল করে আদালতের আদেশ অমান্যকারিদের পে চার্জশীট প্রদান করে র্নিলজ্জ ভূমিকা নিয়েছেন। এ প্রসঙ্গে শহিদুল ইসলাম বলেন; আমাদের মামলার চার্জশীটটি এস আই আমজাদ হোসেন সম্পূর্ণ পপাতমূলকভাবে দিয়েছেন। আমি প্রতিকার চেয়ে ১৪৪/১৪৫ ধারা ফৌঃ কাঃ বিধিতে আদালতে একটি মামলা করলেও চার্জশীটে তা উল্লেখ করেননি। আসামিরা ঘটনার দিনসহ একাধিকবার জোরপূর্বক জমি দখলের চেষ্টা করলেও তা চার্জশীটে লেখেননি। বরং আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করে তিনি ফাঁসানোর চেষ্টা করেছেন।
এ প্রসঙ্গে তদন্তকারি কর্মকর্তা এস আই আমজাদ হোসেন বলেন; যেহেতু মারামারির ঘটনা সেহেতু ১৪৪/১৪৫ ধারা ফৌঃ কাঃ বিধির মামলার কথা উল্লেখ করার প্রয়োজন হয়নি। এক প্রশ্নে জবাবে তিনি আরও বলেন; শহিদুল ঘটনাস্থলে ছিলনা ঠিকই কিন্তু রোস্তম আলীদেরও কয়েকজন ঘটনাস্থলে ছিলনা, আমি তাদের বাদ দিইনি। মূলত মামলার বাদির বিপে চার্জশীট দেয়ার কোন সুযোগ নেই। এতে দু’পরেই শাস্তি হবে।
ডুমুরিয়া থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম মশিউর রহমান বলেন; মরামারির মামলায় দখলের বিষয়টি উল্লেখ করার প্রয়োজন হয় না। তাছাড়া বিষয়টি আমি দেখছি।

0 মন্তব্য(গুলি)