You Are Here: Home» » জামালপুরে ঋণের ফাঁসে অভাবী মানুষের প্রাণ যায় ॥

কাজী রফিকুল হাসান ৫ ফেব্র“য়ারী জামালপুর জেলা প্রতিনিধি ॥ জামালপুর জেলার মানুষ চড়া সুদের ঋণে জড়িয়ে সর্বশান্ত হচ্ছেন অভাবীরা। সুদের কারবারীরা ব্যক্তি উদ্দ্যোগে অথবা অনুমোদনহীন সমিতি গড়ে চালিয়ে যাচ্ছেন রমরমা সুদের ব্যবসা। লাগামহীন সুদের কারবারে নিঃস্ব হয়ে এলাকা ছাড়তে বাধ্য হচ্ছেন অনেক অভাবী মানুষ। জেলা শহর সহ ৭টি উপজেলার আনুমানিক ২/৩ হাজার সুদখোর মহাজন চালিয়ে যাচ্ছেন সুদের ব্যবসা। ঋণ গ্রহীতাদের কাছ থেকে প্রতি এক হাজার টাকায় মাসিক ১০০ টাকা সুদ নেয়া হয়। এমন ব্যাপক হারের সুদ পরিশোধ করতে গিয়ে চোখে সর্ষের ফুল দেখেন ঋণ গ্রহীতারা। যারা ঋণ শোধ করতে পারেন না তাদের প্রতিমাসের সুদ জমা হয় আসলের সঙ্গে। এক পর্যায়ে সুদ আসলের সঙ্গে যুক্ত হয়ে বিপদজ্জনক হয়ে দাড়ায় আসলের পরিমাণ। সুদ বা আসল পেতে দেরি হলে মহাজনরা ঋণ গ্রহিতাদের বাড়ীতে চড়াও হয়ে আসবাবপত্র, গরুছাগল, হাঁস-মুরগী সহ জিনিসপত্র নিয়ে যায়। সুদের ব্যবসা এতটাই জমজমাট গ্রামাঞ্চলের মানুষ দিশেহারা হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে সুদের যাতাকলে পিষ্ট হয়ে সদর উপজেলার পাথালিয়া, পলাশগড়, লীরচর, রায়ের চর, টেবির চর, তুলশীর চর, কাজিয়ার চর, চর গজারিয়া,সাহেবের চর সহ আরো বেশ কয়েকটি এলাকার মানুষ বাড়ী ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। সরেজমিনে এসব এলাকা ঘুরে জানা গেছে, এসব এলাকার মহাজনরা চক্রবৃদ্ধি হারে সুদের ব্যবসা করছে। এদিকে এছাড়া মেলান্দহ, মাদারগঞ্জ, ইসলামপুর দেওয়াগঞ্জ, বকশীগঞ্জ ও সরিষাবাড়ী উপজেলায় সুদের ব্যবসা জমজমাট আকার ধারন করেছে। বিভিন্ন সুত্রমতে জানা গেছে, ডাংধরা, পারারামপুর, হাতীবান্দা, বাট্টাজোড়, চিকাজানী, নাংলা, আদ্রা, মহাদান, ভাটারা, কামরাবাদ, পোগলদিঘা, সাতপোয়া,ডোয়াইল ও আগুনা এলাকার মানুষ সুদের জাতাকলে পিষ্ট। তাই সচেতন মহলের প্রশ্ন সুদের ব্যবসা আর কতকাল থাকবে।
Tags:

0 মন্তব্য(গুলি)

Leave a Reply