You Are Here: Home» » বোরো মৌসুমকে ঘিরে ভেজাল কীটনাশক বিক্রি হচ্ছে ॥ কৃষি শিল্প ধ্বংসের পথে ॥

কাজী রফিকুল হাসান ০৩ ফেব্র“য়ারী জামালপুর জেলা প্রতিনিধি ॥ আমন মৌসুমে জামালপুরের কৃষকরা মার খেয়ে নেমে পড়েছে বোরো চাষে। অন্যান্য ফসলের চেয়ে বোরো চাষে খরচ বেশি। সেচ ছাড়া বোরো চাষ সম্ভব হয় না। বোরো চাষকে ঘিরে কৃষকরা পড়েছে চরম বিপাকে। বিশেষ করে ভেজাল কীট নাশকের বেড়াজালে পড়ে কৃষকরা নিশ্চিহ্ন হয়ে পড়েছে। কীট নাশক আসল নকল বুঝার উপায় নেই। ভেজাল কীট নাশক বিক্রি এতোটা বেড়েছে স্বয়ং কৃষি বিভাগ বিপাকে পড়েছে। জেলার কৃষি শিল্পকে ধ্বংস করার জন্য একটি সংঘবদ্ধ চক্র ভারতীয় নিম্নমানের কীটনাশক এনে দেশীয় নামিদামি কোম্পানীর মোড়কে ভর্তি করে বাজারজাত করছে। জামালপুর সদর উপজেলার  লক্ষ্মীরচর, রায়ের চর, টেবির চর, তুলসীর চর, কাদিয়ার চর, চর গজারিয়া, চর যথার্থপুর, কুলুর চর, চর হামিদপুর, বাঁশচড়া, হামিদপুর, শ্রীপুর শাহবাজপুর, বলাইয়ের চর, দিগপাইত, নারিকেলী, ছোনটিয়া, মেষ্টা, হাজীপুর, ছাতিয়ানী, তিতপলা, ইটাইল, নান্দিনা, নরুন্দী,রশিদপুর, শরীফপুর সহ আরো অসংখ্য এলাকায় বোরো চাষ হচ্ছে। সরেজমিনে এসব এলাকা ঘুরে দেখা ও জানা গেছে, এ অঞ্চলের কৃষকদের একটাই সমস্যা কীটনাশক। গেলো বছর বোরো জমিতে কীটনাশক প্রয়োগ করে পোকা দমন করা যায়নি। যার জন্যে  ফলন কম হয়েছে। এবারও একই সমস্যা দেখা দিয়েছে। কৃষক ফারুক জানান, ভেজাল কীট নাশকের কারনে বোরো আবাদ ব্যহত হচ্ছে। এছাড়া মেলান্দহ, মাদারগঞ্জ,ইসলামপুর, দেওয়ানগঞ্জ,বকশীগঞ্জ,সরিষাবাড়ী  উপজেলাধীন ডাংধরা, পারারামপুর, হাতীবান্দা,বাগারচর,বাট্টাজোড়, চিকাজানী, মহাদান, ভাটারা, কামরাবাদ, পুগলদিঘা, সাতপোয়া,দোয়াইল ও আওনা এলাকার কৃষকরা ভেজাল কীটনাশকের কারনে বোরো আবাদ ভেস্তে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। কৃষি বিভাগের সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা বলেন, ভেজাল কীটনাশক জমিকে অনুর্বর করে তুলে। ভেজাল কীটনাশক প্রতিরোধে ব্যবস্থা না নিলে গ্রামীণ অর্থনীতিতে বিরূপ পভাব পড়বে।
Tags:

0 মন্তব্য(গুলি)

Leave a Reply