কাজী রফিকুল হাসান ২৮ জানুয়ারী জামালপুর জেলা প্রতিনিধি ॥ জলবায়ুর বিরুপ প্রভাব মোকাবেলায় পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বৃহত্তর জামালপুর জেলার পাহাড়ী এলাকায় কাসাভা স্থানীয় নাম সিমলা আলু চাষ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। অল্প পরিশ্রমে আবাদ করা যায় এবং খাবার ও পুষ্টির চাহিদা মেটায়। সাধারণতঃ পাহাড়ী এলাকায় কাসাভা চাষ বেশি পরিমাণে হয়ে থাকে। বিশেষ করে আদিবাসীরা কাসাভা চাষ বেশি করে। স্থানীয় কৃষি বিভাগ খাদ্যের চাহিদা মেটানোর ল্েয কৃষকদের কাসাভা চাষে উদ্বুদ্ধ করছে। কৃষি বিভাগের সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা বলেন, কাসাভা চাষ করা খুবই সহজ। কাসাভা গাছের কান্ড পুতে রাখলেই গাছ হয়। একটি গাছ থেকে ১০ খেকে ১৫টি কাসাভা পাওয়া যায়। বিঘা প্রতি গড়ে ৩০ থেকে ৪০ মণ কাসাভা উৎপাদন হয়। বৃহত্তর জামালপুর জেলার বকশীগঞ্জ, নালিতাবাড়ী, ঝিনাইগাতি ও শ্রীবর্দী এলাকায় সব চেয়ে বেশি চাষ হয়। কাসাভা সম্পর্কে জেনারেল হাসপাতালের ডাক্তার ও সরকারি জাহেদা শফির কলেজের খাদ্য ও পুষ্টি বিভাগের শিক এ প্রতিবেদককে জানান কাসাভাতে পুষ্টিমান সবচেয়ে বেশি। উচ্চ হইড্রেড সমৃদ্ধ খাবার। ভাত রুটির বিকল্প হিসাবে কাসাভার গুরুত্ব অপরিসীম। কৃষি বিভাগ আরো জানান, কাসাভা গাছে কোন রোগবালাই হয় না। কীটনাশকের প্রয়োজন নেই। কাসাভা কৃষকদের ভাগ্যের চাকা বদলে দিয়েছে।

0 মন্তব্য(গুলি)